দেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ তাদের নেই। এ জন্য আরাফাতের বাবা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সহায়তা চেয়েছেন।
শিশু আরাফাতের বাবা আব্দুল হক অন্যের জায়গায় মাটির ঘর তুলে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন পিকআপ চালক। সংসারে অভাব অনটনে শিশুটির জন্মের আড়াই বছরের মাথায় তার মা সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে চলে যান সৌদি আরব। তিন বছর পর মা দেশে ফিরে স্বামীর সংসারে না ফিরে সরাসরি চলে যান বাপের বাড়িতে। তিনি অসুস্থ সন্তানের কোনো খোঁজ নেননি।
আরাফাতের বাবা আব্দুল হক জানান, এরই মধ্যে আরাফাতের মা দরিদ্র স্বামীর ঘরে সে ফিরে আসবে না বলে স্বামীকে জানিয়ে দেয়।
আব্দুল হক আরো জানান, তার স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার শশুরবাড়িতে গেলেও স্ত্রী তার স্বামীর সংসারে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার একমাত্র ছেলেরও কোনো খোঁজ খবর নেয় না সে। মাতৃস্নেহ বঞ্চিত আরাফাত তার ফুফুর কোলে বড় হচ্ছে। মাটির ছোট্ট একটি ঘরে ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে থাকেন ফুফু মনোয়ারা।
ফুফু মনোয়ারা বেগম জানান, আরাফাতকে স্কুলে দেয়া যাচ্ছে না। যদি কোনোভাবে তার হৃৎপিণ্ডে আঘাত লাগে তাহলে সে বাঁচবে না। তাই তাকে ঘরেই পড়ানো হচ্ছে। জন্মের পর থেকেই আরাফাতের হৃৎপিণ্ড বুকের বাইরে ছিল। তখন আকারে ছোট ছিল। এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাও বড় হতে থাকে। আর ধীরে ধীরে বাইরে বের হয়ে আসছে।
ছোট বেলা থেকেই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে আরাফাতকে। চিকিৎসা করালেও সুস্থ হয়নি সে। দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার হৃৎপিণ্ডে মাঝে মধ্যে অসহ্য ব্যথা হয়। তখন সে ব্যথায় ছটফট করে।