বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর ঘুষ, দুর্নীতির টাকায়
গড়ে তোলেন শত কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
করেছে ঘুষ নিয়ে আটককৃত পণ্য খালাসের মাধ্যমে শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি
দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনাপোল কাস্টমস
হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীকে । গতকাল মঙ্গলবার দুদক কার্যালয় থেকে
তার কাছে তলব করা নোটিশ পাঠানো হয়। এই নোটিশে উল্লেখ করা হয় আগামী ৮
সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে
বেলাল চৌধুরীকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু সি অ্যান্ড এফ
এজেন্টের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব
ফাঁকি দিয়ে নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক বেলালের নামে-বেনামে
প্রায় শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে
রাজধানীর বারিধারায় বসুন্ধরায় এফ ব্লকে ১২ নম্বর প্লটে ৫ কাঠা জমির ওপর
৫তলা বাড়ি।
যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার অধিক। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে রয়েছে
নিউ ইস্কাটনে ৪ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট যার মূল্য প্রায় ৪
কোটি টাকা। এশিয়ার বৃহত্তম সপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটিতে ও যমুনা ফিউচার
পার্কে রয়েছে ৪টি বড় দোকান। পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমির আবাসিক প্লট এবং
বারিধারা এলাকায় বসুন্ধরার ডি ব্লকে ৫ কাঠা জমি।
এছাড়া গাজীপুরে বেলালের ভাইয়ের নামে একটি গার্মেন্টস কারখানা ও তার নিজ
গ্রাম নোয়াখালীতে ৫০ বিঘা ও আশুলিয়ায় ১০ বিঘা জমি রয়েছে তার।