চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ‘করোনাভাইরাস’ মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে চীনে ১৩৯ জন এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন চারজন।
চীনের উহান প্রদেশে গত ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম দেখা দেয়। উহান প্রদেশ থেকে বেইজিং, সাংহাই ও সেনঝেন প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি।
জাপান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
এই ‘করোনাভাইরাস’ ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও প্রতিারোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কারণ চীন থেকে আসা সব বিমান এই বিমানবন্দর দিয়েই ওঠানামা করে।
এছাড়া অন্যান্য বিমানবন্দরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে বাংলাদেশে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বর মাসে উহান প্রদেশে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ পান। এই ভাইরাসের ফলে লোকজন নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছে। এটি শ্বাসতন্ত্রের রোগ। প্রধান লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা। তবে ভাইরাসের ধরনটি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।