মোঃ মাছুম বিল্লাহ সজীব: ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা থানার অন্তর ভুক্ত সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহরুম ফরহাদ আলী।
মহরুম ফরহাদ আলী গত ১৫ জুন ২০১৮ইং তারিখে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
তবে আসামিরদের শাস্তি হলেও কয়েকজন আসামি ধরাছোঁয়ার বাহিরে এখনো পলাতোক আছেন।
আসছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আগামী ২৩ জুন,২০২০ইং তারিখে।
তবে কেউ কি খোঁজ নিয়েছে, মহরুম ফরহাদ আলীর পরিবারের!
মহরুম ফরহাদ আলী পরিবারের বর্তমান হাল ধরেছেন ফরহাদ আলীর বড় ছেলে মোঃ আবিদ হাসান বাপ্পী।
বাপ্পী সাংবাদিকদের জানান যে, তার বাবার নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পর কেউ তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি।
তিনি আরো জানান তার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। দীর্ঘ ২৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির করে আসছেন।
সব সময় নিজের ঘরের থেকে টাকা নিয়ে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করতেন। সেই সাথে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সবসময় খোঁজখবর রাখতেন। কিন্তু এতকিছুর পর তার বাবাকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বাপ্পী ছোটকাল থেকে দেখে এসেছেন তার বাবা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করছেন এবং সেই সাথে তিনি আওয়ামীলীগ প্রেমি হয়ে ওঠেন।
বাপ্পী জানান আমি বাবার সাথে ছোটকাল থেকে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলাম। সেইসাথে দেখেছি বাবার নেতৃত্ব এবং কর্মীদের প্রতি ভালোবাস। বাবা দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির করে আসছেন। কিন্তু বিনিমেয় কিছু পাননি।
তবে মহরুম ফারহাদ আলীর মৃত্যুর দুই বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি।
তার বড়ছেলে বাপ্পী আরো জানিয়েছ যে বিগত দিনে বাবা আওয়ামীলীগরে সাথে ছিলেন। সেখান থেকে আওয়ামীলীগকে ভালোবাসা। আমি এখনো আওয়ামীলীগকে ভালোবাসি এবং ভবিষ্যৎতেও আওয়ামীলীগের সাথেই থাকবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট অকুল আবেদক এই যে, আমারা অবহেলিত। আমি বাবা হারিয়েছি। আমার বাবার সুষ্ঠু বিচার এবং আমারা পরিবারের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ চাই।
তবে এতো কিছুর পর ও তাদের মনের বিশ্বাস একদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের কাছে আসবেন এবং সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিবেন।
এই কষ্ট বুকে চেপে এখনো জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহরুম ফরহাদ আলীর পরিবার।