1. techostadblog@gmail.com : Fit It : Fit It
  2. mak0akash@gmail.com : AL - AMIN KHAN : AL - AMIN KHAN
  3. admin@sangbadbangla.com : admin :
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৪:২০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তা করলেও ব্যবহার করবে না চীন

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৩৪৪ বার পঠিত

‘বাংলাদেশে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তা করলেও ব্যবহার করবে না চীন’

বিদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭:৪৯, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯ | সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০২, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯

991

বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করে দেবে চীন কিন্তু বেইজিং এই ঘাঁটি ব্যবহার করবে না। ২০১৬ সালে বেইজিংয়ের কাছ থেকে কেনা বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন ভবিষ্যতে এই ঘাঁটি ব্যবহার করবে। নিজেদের অর্থায়নে কক্সবাজার জেলায় বঙ্গোপসাগরে এটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বেনারনিউজকে তিনি জানান, সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের মাধ্যমে ভারত-চীনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও পক্ষ নেবে না বাংলাদেশ।

‘বাংলাদেশে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তা করলেও ব্যবহার করবে না চীন’

বিদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭:৪৯, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯ | সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০২, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯

991

বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করে দেবে চীন কিন্তু বেইজিং এই ঘাঁটি ব্যবহার করবে না। ২০১৬ সালে বেইজিংয়ের কাছ থেকে কেনা বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন ভবিষ্যতে এই ঘাঁটি ব্যবহার করবে। নিজেদের অর্থায়নে কক্সবাজার জেলায় বঙ্গোপসাগরে এটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বেনারনিউজকে তিনি জানান, সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের মাধ্যমে ভারত-চীনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও পক্ষ নেবে না বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের একটি সাবমেরিন

২০১৬ সালে বেইজিংয়ের কাছ থেকে ২০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে দুটি সাবমেরিন কিনে ঢাকা। বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ নামে বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া সাবমেরিন দুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম নৌঘাঁটিতে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ফারুক খান বলেন, ‘চীনের সহায়তায় আমরা কক্সবাজারে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। আমরা চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন কিনেছি। ফলে আমাদের ঘাঁটি দরকার। ঘাঁটি না বানালে এসব সাবমেরিন রাখবো কোথায়’।

বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে এটাই প্রথমবারের মতো চীনা সম্পৃক্ততা হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফারুক খান। তিনি বলেন, চীনারা আমাদের ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তা এবং সাবমেরিন ও ঘাঁটি পরিচালনায় আমাদের জনবলকে প্রশিক্ষণ দেবে। চীনা সাবমেরিন এখানে আসবে না। এই ঘাঁটি আমাদের সাবমেরিনের জন্য।

ফারুক খান জানান, সাবমেরিন ফ্যাসিলিটি নির্মাণে বেইজিংয়ের সঙ্গে কোনও চুক্তি স্বাক্ষর করেনি ঢাকা। প্রস্তাবিত ঘাঁটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ও সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় তা নির্মাণ হবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন ফারুক খান।

২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় নৌঘাঁটি নির্মাণ করে সেখানে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সাবমেরিন ঘাঁটি নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েও উত্তর পায়নি বেনারনিউজ। মে মাসে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে ১০২ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হবে বলে জানা গিয়েছিল।

সাবমেরিন নির্মাণে সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, ‘এটা ভারত বা চীনের কোনও প্রশ্ন নয়’। তিনি বলেন, ‘আমাদের চীন ও ভারত দুই দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এটা সত্যি না যে, আমরা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে চীনের পক্ষ নিচ্ছি। আমাদের নীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’।

ফারুক খান আরও বলেন, বড় শক্তিগুলোর প্রভাবের জন্য লড়াই সবসময়ই ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কোনও বড় শক্তিই নিজেদের স্বার্থে আমাদের প্রভাবিত করতে পারবে না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনা বা ঘাঁটি নির্মাণ কোনোটিই ভারতকে লক্ষ্য করে নয়। বাংলাদেশ চীন থেকে যে দুটি সাবমেরিন কিনেছে তা গতানুগতিক ধরনের। ফলে আমার মনে হয় না এ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কিছু আছে।

এই পোস্টটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© ২০১৯, সংবাদ বাংলা
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: The IT King