বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া দাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল ঈদের দিন শনিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় ফারিদপুরের নিজ বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন। জানা গেছে, গত ১৫ জুন সুপ্রিয়ার প্রেমিক তপু মজুমদার আত্মহত্যা করে। এর দেড় মাস পরে এই ঘটনা ঘটল।
সুপ্রিয়া দাসের সহপাঠী ও কাছের এক বন্ধু জানান, কুয়েটের শিক্ষার্থী তপু মজুমদারের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়ার। দুজনের বাসা একই এলাকায়। উভয় পরিবার মেনে নিয়েছিল দুজনের সম্পর্ক। করোনার মধ্যেও সুপ্রিয়ার বাসায় এসেছিল তপু মজুমদার। তিনি বলেন, গত ১৪ জুন রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। কান্না করতে করতে সুপ্রিয়া ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় অনেক এসএমএস।
তাৎক্ষণিক ফোন করে জানতে পারে তপু আত্মহত্যা করেছে। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সুপ্রিয়া। তপু আত্মহত্যার জন্য সামাজিকভাবে তাকে দোষারোপসহ নানান কটূক্তি করা হয়। সামাজিক ও মানসিক চাপেই সুপ্রিয়া আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে মনে করেন তার কাছের বন্ধুরা। এদিকে সুপ্রিয়ার এমন আত্মহননে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্যাম্পাসে। দাবি উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ সেল গঠনের।