বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৬ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
এদিকে, পাঁচ দিনের রিমান্ডের দু’দিন শেষ হতেই রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
যেখানে মিন্নি রিফাতের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু করে নয়ন বন্ডের সঙ্গে বিয়ে, শারীরিক সম্পর্ক সবই স্বীকার করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, রিফাতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও তার অবহেলায় মিন্নি নয়নের দিকে ঝুঁকতে থাকে। এ ছাড়া রিফাতের আগেই নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে সময় নিয়মিত নয়নের বাড়িতে যাতায়াত করত মিন্নি। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মিন্নি বলেন, নয়নের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি আমার পরিবারের কেউ জানে না। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে কলেজ থেকে পিকনিকে কুয়াকাটা যাওয়ার বাস আমি মিস করি। তখন নয়নের মোটরসাইকেলে আমি কুয়াকাটা যাই এবং নয়নের সঙ্গে একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করি।
রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরেও নয়নের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে মিন্নি। এসব নিয়ে মিন্নির সঙ্গে রিফাতের হাতাহাতিও হয়।
রিফাতকে শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যেই মূলত নয়নের সঙ্গে প্ল্যান করেন মিন্নি। হত্যার দিনও এ বিষয়ে নয়নের সঙ্গে বার বার ফোনে কথা হয়।
এদিকে, বুধবার সকালে কারাগার থেকে ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সময়ে পরিবারের সঙ্গে আদালতে হাজির হয় নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নি ও আরিয়ান শ্রাবণ। আদালতে শুনানির সময় ৬ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। তবে আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।