রংপুরে নারীসহ কামরুল হাসান নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে রংপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনানীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। কামরুল হাসান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এএসপি পদে কর্মরত।
কামরুল হাসান নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়ে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন তিনি। আর মেয়েটির নাম রোকসানা পারভীন স্মৃতি। তিনি ২০১৬ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। স্মৃতির বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে। জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে কামরুল ও স্মৃতির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। গত ৩ মাস আগে বনানীপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। এরই মধ্যে ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়ে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করেন কামরুল। আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশে যোগদান করার কথা তার। সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে এতে অস্বীকৃতি জানান কামরুল। একপর্যায়ে স্মৃতি মহিলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কামরুল বনানীপাড়ার ওই বাসায় গেলে স্মৃতি মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে তার আসার বিষয়টি জানান। পরে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বনানীপাড়া গিয়ে কামরুলকে দেখার পর পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সেখান থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমানা জামান জানান, স্মৃতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে রোকসানা পারভীন স্মৃতি জানান, পুলিশের ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫১ লাখ ১ হাজার ৫৩ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। এ দেনমোহরের এক টাকা কম হলে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো। রংপুর কোতোয়ালি থানা ওসি আব্দুর রশিদ জানান, ‘বিষয়টি একটু জটিল, তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই বলতে পারছি না।’