করোনাভাইরাসের কারণে খাদ্যসহ । ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রধান বাধা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ত্রাণ সামগ্রী তারা পাচ্ছে না। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ভাসমান, হোটেল ও আবাসভিত্তিক তৃতীয় লিঙ্গ ও যৌনকর্মীরা জীবিকার মাধ্যমে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ১৭ মে রোববার বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লাইট হাউজ ঢাকার বনানী কার্যালয় থেকে এক অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে লাইট হাউজের প্রধান নির্বাহী মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, দেশজুড়ে কার্যত লকডাউনের পর থেকে যৌনপল্লীসহ রাস্তা, বাসা ও হোটেলভিত্তিক নারী যৌনকর্মী এবং পাশাপাশি পুরুষ ও হিজড়া যৌনকর্মীদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে যৌনকর্মীরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যৌনকর্মীরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। যেসব যৌনপল্লী ত্রাণ পাচ্ছে সেখানেও যৌনপল্লীর অভ্যন্তরে প্রভাবশালীদের জন্য ত্রাণের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। যৌনকর্মীরা যেন কোন প্রকার ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় সেক্সওয়ার্কার নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার লিলি বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, যৌনকর্মীরা আদর্শ জীবনধারণ করে না। তাদের জীবনযাত্রার মান, খাদ্য অভ্যাস, এবং সুন্দর দেখানোর জন্য, খদ্দেরকে আকৃষ্ট করতে স্টেরয়েড ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের মতো অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, জরায়ু ক্যানসার, এইচআইভিসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগে তারা ভুগতে থাকে। এসবের ফলে চূড়ান্তভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়া তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক নাসরিন শওকত বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীদের প্রতি মানসিক ও শারীরিক সহিংসতা অনেকাংশে বেড়ে যাওয়ায় তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্য ও মনোসেবা নিশ্চিত করতে হবে।