1. techostadblog@gmail.com : Fit It : Fit It
  2. mak0akash@gmail.com : AL - AMIN KHAN : AL - AMIN KHAN
  3. admin@sangbadbangla.com : admin :
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণসহ সাত কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয় পুঁইশাক!

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩ জুন, ২০২০
  • ৩০০ বার পঠিত

অনেকেই পুঁইশাক খেতে খুব পছন্দ করেন। তাইতো অনেকেই বারান্দা কিংবা ছাদে পুঁইশাকের গাছ লাগিয়ে থাকেন। জানেন কি, পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ পুঁইশাক শুধু খেতেই মজা নয়, অনেক রোগের ওষুধও এটি।

পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, খনিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, আকভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাইতো অনেক গুণ সমৃদ্ধ ও সহজলভ্য পুঁইশাক প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক যেসব রোগের জন্য পুঁইশাক খুবই উপকারী সেগুলো সম্পর্কে-

চোখকে ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে

পুঁইশাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে এটি চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। পুঁইশাকে আয়রন, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপাদান চোখের সমস্যার প্রকোপ কমায়। বয়স্কদের দৃষ্টিশক্তি অটুট রাখতে, তাদের চোখের ছানির সমস্যা দূর করতে পুঁইশাক খুবই উপকারী একটি উপাদান। শরীরকে সুস্থ, সবল, সতেজ রাখতে পুঁইশাক প্রতিদিনের খাবারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন সমৃদ্ধ পুঁইশাক শরীরের বিপাক ক্রিয়া সহজে সম্পন্ন করে ক্যালরির ক্ষয় করে। ক্যালরি ক্ষয়প্রাপ্ত হলে ওজন কমে। যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা নিয়মিত পুঁইশাক খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত স্থুলতা কমবে। আর আপনার ফিগারকে স্লিম এবং সুন্দর করে তুলবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

পুঁইশাকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট খাবার বলা যায়। এছাড়াও পুঁইশাক খাওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা থাকে স্বাভাবিক এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পুঁইশাকে বিদ্যমান উপাদানগুলো ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং শরীরকে ডায়াবেটিস থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। পুঁইশাক খেলে মলত্যাগ করা সহজ হয়। এতে বিদ্যমান উপাদান শরীরের অন্ত্রনালীকে পরিষ্কার রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য যখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন নিয়মিত ১০০ গ্রাম পুঁইশাকের সঙ্গে ১০০ গ্রাম পানি মিশিয়ে খান। এতে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত অসুস্থতা থেকে।

শুক্রাণুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়

পুঁইশাক নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে শুক্রাণুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আয়রন, জিংক, ফলিক এসিড, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মত উপাদান পুঁইশাকে বিদ্যমান থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে এসব উপাদান শুক্রাণুকে সুস্থ, সবল রাখতে খুব সাহায্য করে।

চর্মরোগ থেকে ত্বককে রক্ষা করে

পুঁইশাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপাদান। যা ত্বকের কুঁচকানো ভাব এবং বয়সের ছাপ দূর করে। এছাড়াও ত্বকের উপর বিষাক্ত উপাদান জমতে বাধা প্রদান করে এবং ত্বকের ভেতরের টিস্যুকে সুস্থ এবং মজবুত করে তোলে। নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে ত্বক হয়ে উঠে মসৃণ এবং উজ্জ্বল।

ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে

ফ্ল্যাভোনয়েডস সমৃদ্ধ পুঁইশাক খাওয়ার ফলে, নারীদের জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় ৪০ শতাংশের উপরে। এছাড়াও পুঁইশাকে ক্লোরোফিল, খনিজ লবণ, ভিটামিন, ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার প্রভৃতি উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান টিউমার সংগঠনে বাধা প্রদান করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টি এবং বৃদ্ধিকারী মলিকিউস কমিয়ে দিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি নিরসন করে। তাই নিয়মিত পুঁইশাক খেতে চেষ্টা করুন।

এই পোস্টটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© ২০১৯, সংবাদ বাংলা
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: The IT King