বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়া, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, অনৈতিক আর্থিক লেনদেনসহ নানা অভিযোগ উঠায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক বৈঠকে শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি সিলেটে সাংগঠনিক সফরে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন। ফেরার পথে সিলেট ওসামানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অসংখ্য নেতাকর্মী প্রবেশ করেন তার সঙ্গে। চলে যান একেবারে বিমানের টারমার্ক পর্যন্ত। সব নিরাপত্তা বলয় উপেক্ষা করে সেলফি তোলার হুড়োহুড়িতে ব্যস্ত দেখা যায় তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয় ছবিটি।
এই অবস্থায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শনিবার স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় আলোচিত হয় এসব বিষয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের জন্য বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পৌঁছানোসহ নানা বিষয় আলোচিত হয় বলে জানায় গণমাধ্যম। এই পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান কমিটি ভেঙে দেয়ার কথা বলেছেন বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এদিকে, সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, এ ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া ছাত্রলীগের ভালো কাজে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি অপছন্দের কাজে সতর্ক করার কথাও বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের ভালো কাজে সন্তোষ প্রকাশ করি, যেগুলো মানুষ পছন্দ করে না সেগুলোর ব্যাপারে তাদের সতর্ক করি।
গত বছরের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন শোভন-রাব্বানী। চলতি বছরের ১৩ মে ঘোষণা করা হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি।