1. techostadblog@gmail.com : Fit It : Fit It
  2. mak0akash@gmail.com : AL - AMIN KHAN : AL - AMIN KHAN
  3. admin@sangbadbangla.com : admin :
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

গরম পানির ভাপ আর গার্গলে করোনা থেকে সুস্থ বাবা ও দুই মেয়ে

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০
  • ৫২৯ বার পঠিত

মরণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। সেই দলে রয়েছেন ব্যবসায়ী কাজী আবুল হোসেন ও তার কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা ও নওশীন শার্মিলী নীরা।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা ও দুই মেয়ে। রোববার (০৩ মে) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে নিজ ঘরে ফিরেছেন তারা।

তারা হলেন- ভৈরবের কমলপুর এলাকার কাজী আবুল হোসেন ও তার বড় মেয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা এবং ছোট মেয়ে নওশীন শার্মিলী নীরা। বাবা ব্যবসায়ী ও দুই মেয়ে কলেজশিক্ষার্থী।

গত ১৭ এপ্রিল বড় মেয়ে স্নিগ্ধা প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিবারের আরও চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে বাবা ও ছোট বোনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাদের দুইজনকেও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাবা ও দুই মেয়ে সুস্থ হন। রোববার তাদের ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সুস্থ হয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। তারপর আমার বাবা ও ছোট বোন আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তখন হাসপাতালে বসে শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। কারণ আমার জানা ছিল করোনার নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই; আল্লাহ-ই কেবল বাঁচাতে পারেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের সুস্থ করে দিলেন। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের সেবায় আমরা সুস্থ হয়েছি। পাশাপাশি ২-৩টি করে নরমাল ট্যাবলেট আমাদের দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা নিয়ম মেনে তিনবেলা সেবন করেছি এসব ওষুধ। সেই সঙ্গে গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গার্গল করেছি, লেবুর শরবত পান করেছি, ফল খেয়েছি এবং ব্যায়াম করেছি। নিয়ম-কানুন মেনে চলেছি বলে দ্রুত করোনামুক্ত হয়েছি আমরা।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা বলেন, স্নিগ্ধা ভৈরবের করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী ছিলেন। পরে তার বাবা ও ছোট বোন আক্রান্ত হন। তারা সুস্থ হয়েছেন শুনে আমি খুশি হলাম। ভৈরবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ জন। এর মধ্য ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

ইউএনও লুবনা ফারজানা বলেন, ভৈরবের ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া আটজনকে রোববার ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হওয়া স্নিগ্ধার বাবা-বোনসহ ১১ জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেয়া হয়।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ বলেন, নিয়ম মেনে চললে করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নিয়ম মেনে চললেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

এই পোস্টটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© ২০১৯, সংবাদ বাংলা
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: The IT King