তারও আগের ঘটনা। আট মাস আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি এলাকার মলি মিয়ার ১৯) সঙ্গে পারিবারিকভাবে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের একমাস পর মেয়েটি জানতে পারেন স্বামী মাদকাসক্ত।
পরে কিশোরী তার বাবাকে ঘটনা জানালে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর মেয়েটি আর স্বামীর বাড়িতে যায়নি। বাবার বাসায় থাকা অবস্হায় আপন মিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই তরুণী।
ওই তরুণীর সম্পর্কের শুরু মোবাইল ফোন দিয়ে হলেও একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। সম্পর্কের গভীরতায় প্রেমিক আপন মিয়ার বিয়ের আশ্বাসে স্বামীকেও তালাক দিয়েছেন।
সর্বশেষ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক আপন মিয়া। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই তরুণী। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি গত শনিবার ভৈরব থানায় প্রেমিক আপন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জর জেলার মিটামইন উপজেলায়। তার বাবা অটো চালান। আর বাবা পেশার কারণে ভৈরব শহরে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন।
এদিকে প্রেমিক আপন মিয়া পেশায় ট্রাকচালক বলে জানা গেছে। তার বাড়ি ভৈরব উপজেলার পানাউল্লার চর গ্রামে।
ওই তরুণী জানান, আপন মিয়া তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় কয়েকদিন পর স্বামীকে তালাক দেন। এরপর আপন মিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আপন মিয়ার বাড়িতে গেলে তার মা-বাবা গালিগালাজ করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনা শুনে নিজের মা-বাবাও মেয়েকে গালমন্দ করেন। নিরুপায় হয়ে গত শনিবার রাতে তিনি ভৈরব থানায় অভিযোগ দেন।
তিনি বলেন, আপন মিয়া আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করেছে। এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ভৈরব থানার এসআই মো. হুমায়ূন কবীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তের আমি দায়িত্ব পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই আমি আপন মিয়ার বাড়িতে গিয়েছি, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, আমি ঘটনাটি উভয় পরিবারকে জানিয়েছি। তারা নিজেরা বিষয়টি মীমাংসা করলে ভালো হয়। অন্যথায় আপন মিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।