করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় মৌলিক স্টেরয়েড ব্যবহারে জীবনরক্ষায় বৈজ্ঞানিক ব্যাপক সাফল্য অর্জনের জন্য ব্রিটেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিত্সা সম্পর্কিত বিষয়গুলো হালনাগাদ করার লক্ষ্যে একটি ক্লিনিকাল পরীক্ষার ফলাফল প্রতিফলিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাতে দেখা যায়, একটি মৌলিক স্টেরয়েড গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে।
রয়টার্স‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ঘোষিত পরীক্ষার ফলাফলগুলো থেকে দেখা যায়, ডেক্সামেথাসোন, ১৯৬০ থেকে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে প্রদাহ হ্রাস করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি ব্যবহারে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর অসুস্থ কোভিড -১৯ রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করেছে।
যেই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি জায়গায় করোনভাইরাস সংক্রমণ ত্বরান্বিত হয়েছে এবং বেইজিং চীনের রাজধানীতে নতুন করে প্রাদুর্ভাব রোধে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে ঠিক সেই সময় এই ইতিবাচক খবরটি এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র দিকনির্দেশনাটি করোনাভাইরাস সংক্রামিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য একজন রোগীর স্ক্রিনিং থেকে নির্গমন পর্যন্ত রোগের সকল ধাপ কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে সম্পর্কে চিকিৎসকদের অবহিত করার জন্য সর্বশেষ তথ্য ব্যবহার করার চেষ্টা করে।
যদিও ডেক্সামেথাসোন অধ্যয়নের ফলাফল প্রাথমিক। তবুও প্রকল্পটির পিছনে থাকা গবেষকরা বলেছেন যে, এটি পরামর্শ দেয় যে গুরুতর রোগীদের মধ্যে ওষুধটি অবিলম্বে স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারে পরিণত হওয়া উচিত।
ভেন্টিলেটরের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিত্সাটি মৃত্যুর হার প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ওষুধ করোনার চিকিৎসায় গুরুত্বর অসুস্থ রোগীদের জীবন রক্ষা করতে সক্ষম। মূলত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেসব রোগীর জীবন বাঁচাতে এ ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর। এটা এক ধরনের স্টেরয়েড। তবে করোনার মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মহাপরিচালক বলেছেন, এই প্রথম অক্সিজেন অথবা ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর হার হ্রাস করার জন্য চিকিত্সা দেখা যাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে যে, এটি আগামী দিনগুলোতে অধ্যয়নের সকল তত্ত্ব বিশ্লেষণের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে সংস্থাটি আরো বলেছে, কীভাবে ও কখন কোভিড-১৯ এর জন্য এ ওষুধ ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে সংস্থাটির ক্লিনিকাল গাইডেন্স আপডেট করা হবে।