ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে তিন মাইল হাট ও মাগুরজান স্টেশনের মাঝের অংশে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে নিয়ম মাফিক লাইন যাচাই করছিলেন দু’জন ট্র্যাকম্যান। সেই সময়েই তাদের নজরে আসে ছোট্ট কাপড়ের পুঁটলি। কাপড়টা ফাঁক করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় ট্রাকম্যানদের। লাইনের মাঝে কাপড়ে মোড়া মাত্র কয়েক মাস বয়সের ছোট্ট মেয়ে শিশু। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান তারা। তাদেরই উদ্যোগে প্রথমে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ছোট্ট শিশুটিকে। ভোরে তাকে রেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে লাইনের মাঝে ফেলে রেখে গেল, তাই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এখানেই ধোঁয়াশার শেষ নয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে চটহাট স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর দেহ।
রেলকর্মীদের অনুমান, ওই নারীই শিশুটির মা। নারীকে খুন করার পর লাইনে বেশ কিছুটা এগিয়ে এসে শিশুটিকে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। ট্রেন থেকে বাচ্চাটিকে ফেলে দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। তাছাড়া ট্রেন থেকে কোনো শিশু পড়ে যাওয়ারও কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাতেই আরো জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির মাথা, পিঠ ও হাতে চোট রয়েছে। আপাতত রেল হাসপাতালে সুস্থ রয়েছে শিশুটি। তবে, অভ্যন্তরীণ আঘাত আছে কিনা সে বিষয়ে এখনই বলতে পারছেন না চিকিত্সকরা। রেল হাসপাতালে চিকিত্সকদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। সুস্থ হওয়ার পরে শিশুটিকে হোমে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।