আবরার হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ নিয়ে যাদের দাঁড়িয়ে থাকতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তদন্তের স্বার্থে ও প্রয়োজনে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগ্রহী হলে তদন্তের অংশ হিসেবে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও সাক্ষী করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবরার হত্যার রাতে বুয়েটের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আবরার লাশের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী প্রাধ্যক্ষ, গার্ড ও বুয়েটের চিকিৎসক।
ঘটনা জানাজানির পর পুলিশ কি ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেনি? জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যদি আগেই বুঝতো যে রাতে বুয়েটের হলে এমন ঘটনা ঘটবে বা ঘটতে চলেছে তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হতো। অতীতে ঘটনা ঘটার সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি যে, এ ঘটনা জানলে হয়তো আবরার হত্যার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতো না। জানলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার যে রেয়াজ তাও মানতাম না।
আপনারা জানেন কেউ একজন ফোন করে বলেছিল হলে গোলমাল হচ্ছে। ওই তথ্যে স্থানীয় থানা পুলিশের একটি টহল টিম সেখানে যায়। আপনারা জানেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। ওই রাতে পুলিশ অনুমতি পায়নি যে কারণে ৪০ মিনিট পুলিশ থাকার পর চলে যায়। বাইরে থেকে ভেতরে এ ধরনের কোনো ঘটনার লক্ষণ পায়নি। বোঝাও যায়নি ভেতরে কোনো কোলাহল। এ ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি আমরা পাইনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন ডিবি অতীতে অনেক ক্লুলেস জটিল মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে চার্জশিট দিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনার ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
শিবির সন্দেহে মারধর করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিবির সন্দেহে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ওটা একমাত্র কারণ কিনা তদন্তের এ পর্যায়ে তা বলা যাচ্ছে না। কারণ আরও কারণ থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন, কৃষ্ণপদ রায়, যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম ও ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।